চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের সামনে অসহায় বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের সামনে অসহায় বাংলাদেশ
সেই চট্টগ্রাম, এই চট্টগ্রাম
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সপ্তম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন গড়েন ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তবে সেবার লক্ষ্য ছিল ‘মাত্র’ ২১৬ রান।
এবার একই ভেন্যুতে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে রান তাড়ায় ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিজে এখন মুশফিকের সঙ্গী সেই মিরাজ। কিন্তু এবার লক্ষ্য ৩৩২ রান। ২৭ ওভারে এখনো প্রয়োজন ২৩৯ রান, ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৮.৮৫ করে রান।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে গেলে কাজটা এবার আরও কঠিন, অনেক কঠিন।

২০: ০৬ , জুলাই ০৮
আফিফ গোল্ডেন ডাক
হৃদয়, সাকিবের পর আফিফ। রশিদের আরেকটি গুগলি। এবার সেটির শিকার আফিফ। প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে বাংলাদেশ।
সাকিবও নেই ১৮ ওভারে ৭১/৫
আগের ওভারে হৃদয়, পরের ওভারে সাকিব। একটু থিতু দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপ আরও বাড়ল বাংলাদেশের। নবির রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে যান সাকিব। আত্মবিশ্বাসী না হলেও রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি বাঁচাতে পারেনি তাঁকে। উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। এখন পর্যন্ত সাকিবই যা একটু জবাব দিতে পারছিলেন আফগানদের, ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনিও। ১০০ রানের বেশ আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ!
রশিদের গুগলিতে শেষ হৃদয়
হৃদয় নড়বড়ে ছিলেন। রশিদের দারুণ গুগলির জবাবও দিতে পারলেন না। আগের বলটি প্রায় একই জায়গায় পড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরেরটি ঢুকল ভেতরের দিকে। সেটি পুরো মিস করে গেছেন হৃদয়, আগের ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ব্যাটসম্যান থেমেছেন ৩৪ বলে ১৬ রান করেই। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেট নিলেন আফগানিস্তানের প্রিমিয়াম স্পিনার। ইনিংসের ১৭তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পড়ল। স্কোরবোর্ডে ৬৭ রান।
আগুন নিয়ে খেলতে পারবেন সাকিব?
সেলিম সাফির শর্ট বলে পুল করে চার মেরেছেন সাকিব। পরের বলে একটু সামনে করেছিলেন, এবার কাভার দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন সাকিব। আফগানিস্তানের আগুন নিয়ে খেলতে পারবেন সাকিব? হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি এখন ৩১ রানে অবিচ্ছিন্ন। ৩৫ ওভারে এখনো প্রয়োজন ২৭৬ রান, ওভারপ্রতি তুলতে হবে ৭.৮৮ করে রান। হৃদয় অবশ্য এখনো ঠিক থিতু হতে পারেননি।
শর্ট, শর্ট
১৩ ওভারে ৪২/৩
প্রথমে সাকিব, পরে হৃদয়—সর্বশেষ দুই ওভারে পেয়েছেন দুটি বাউন্ডারি। তবে দুটিই এসেছে টপ-এজে, সাফির শর্ট বলে। ফারুকি তাঁর প্রথম স্পেলে ৬৭ শতাংশ বল করেছেন শর্ট লেংথে। একই পথ অনুসরণ করছেন সাফিও। হৃদয় প্রতি-আক্রমণের চেষ্টা করছেন, তবে সফল হননি, প্রথম ২৫ বলে করতে পেরেছেন মাত্র ৮ রান। লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে নিশ্চিতভাবেই বড় জুটি প্রয়োজন বাংলাদেশের।
![]() |
ছবি: শামসুল হক |
No comments