জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ই-ন্তেকাল করেছেন
জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ই-ন্তেকাল করেছ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ সোমবার রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান (ইন্না
বিএসএমএমইউর হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক এস এম মোস্তফা জামান প্রথম আলোকে সাঈদীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বাংলাদেশের জামায়াত-এ-ইসলামি পার্টির একজন প্রমুখ নেতা ছিলেন। তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক ও বিতর্কের মাধ্যমে চরম মতামতের মতোবাদ প্রকাশ করেছেন। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন এবং তারপর জামায়াত-এ-ইসলামি পার্টিতে যোগদান করেন। তার নেতৃত্বে জামায়াত পার্টি রাজনৈতিক মতবাদ ও ইসলামিক আদর্শের উপর ভিত্তি করে গঠিত হয়।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবা সকালের দিকে ভালো ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং রাত ৮ টা ৪০ মিনিট মারা যান।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে গতকাল রোববার বিকেলে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বিএসএমএমইউয়ে নেওয়া হয়।
কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী ছিলেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে থাকা অবস্থায় গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তার মৃত্যুবার্ষিকী পর তার ইন্তেকালের সাথে একটি বিশেষ রাজনৈতিক মানসিকতা জুড়ে আসে। সাঈদীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার একটি পক্ষে বৃদ্ধি পেয়েছিল, যেটি বিপক্ষে পরিণত হয়ে যায়। তিনি জামায়াতের নেতৃত্বে বিতর্ক ও বিপর্যয়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতি উন্নত করেন। তার মৃত্যু পর জামায়াতে নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার মত প্রবৃদ্ধি একটি নতুন দিক নেয়।
সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি নতুন দিকে প্রবৃদ্ধি পেয়। তার নেতৃত্বে জামায়াত নেতৃত্বের উত্থান এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উত্থান দেখা যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলিলের পরিবর্তনের সূচনা করছে, যা দেশে নতুন একটি রাজনৈতিক দলিলের উদযাপন দেখাচ্ছে।

করবে কিনা, সেইসাথে দলিলে নতুন যোগাযোগ স্থাপন করে নিজেকে তার নেতৃত্বে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে কী ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটি নিশ্চিত নয়।
সাঈদীর ইন্তেকাল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক দলিলে একটি গভীর প্রভাব ছেড়ে দিয়েছে। তার দেওয়া রাজনৈতিক মতামত এবং সামাজিক মনোভাব এখনো বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। তার প্রয়াণের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলিল এবং রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন ভাবনা উদ্ভব করতে পারে।
সমার্থনে বলা যায় যে, সাঈদীর ইন্তেকাল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনে এক নতুন দিকের সূচনা করছে। তার নেতৃত্বে জামায়াত পার্টির ভবিষ্যত নিয়ে বিভিন্ন স্পেকুলেশন চলছে, যা দেশে রাজনৈতিক দলিলের পরিবর্তনে একটি নতুন দিক নির্দেশনা দেয়। এই নতুন দিক কী হবে সেটি সম্পর্কে আগামী দিনগুলিতে আমরা দেখতে পাব।
No comments